অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গে কাকে কোন দায়ে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা পুলিশ একাডেমি জানে।’
আজ মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ৩য় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা এবং কমিটির আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সভাপতিত্ব করেন। সভায় আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কাকে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছে সেটা একাডেমি ভালো বলতে পারবে। এই সংখ্যাটা পূরণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এ নিয়োগ সম্পন্ন করবো। ’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সে সংখ্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও আমরা সংখাটা এখানে বলবো না। একেকটি বাহিনী উদ্ধার অভিযান করছে। পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানাবে।
তিনি বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আবারও কোনো অপরাধে জড়িয়ে গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। লুট করা অস্ত্রের ৮০ শতাংশ এরই মধ্যে উদ্ধার হয়েছে।
সভায় আলোচনার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির আলোচনা হয়েছে। যেকোনো দাবির বিষয়ে, সরকার যে কমিটি করেছে সে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। রাস্তাঘাটে সমাবেশ করতে গেলে যানজটসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে সবাই ভুক্তভোগী হয়। জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগ মোড়ের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা সমাবেশ করলে জনভোগান্তি অনেকটা কমবে। এ জন্য সবাইকে আমি রিকোয়েস্ট করব শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করার জন্য।
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। কীভাবে বিশ্ব ইজতেমা ভালোভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিশ্ব ইজতেমায় এখন দুটি গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মতেরও পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসব, যাতে তারা সবাই ঐকমত্যে এসে ভালোভাবে (ইজতেমা) করতে পারে, আমরা তাদের সেই অনুরোধ করব। এটি খুবই ভালো একটা আয়োজন, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং বহু দিকনির্দেশনা আসে।
সভায় সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গি প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা-সহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
Leave a Reply